সন্দ্বীপে রাস্তার পাশে এক নবজাতককে কুড়িয়ে পান স্থানীয় লোকজন। পরে তার দায়িত্ব নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কুড়িয়ে পাওয়ার পর থেকে প্রায় ১০ দিন অসুস্থ ছিল শিশুটি। সুস্থ হতেই সেই শিশুটিকে নতুন বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেই কন্যাশিশুটির মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে এক চাকরিজীবী দম্পতির কাছে। শিশুটির ভবিষ্যৎ সামাজিকভাবে নিরাপদে বেড়ে ওঠার লক্ষ্যে নতুন মা-বাবার নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা।
তিনি বলেন, নবজাতককে পাওয়ার পর থেকেই সে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে এক চাকরিজীবী দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটি বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য মা-বাবার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
যখন শিশুটিকে পেয়েছি তখন থেকেই অনেকে আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে মাত্র ৩ দম্পতি নিয়ম মেনে লিখিতভাবে আবেদন করেন। এরপর শিশুটি লালনপালনে তারা সক্ষম কি না, যাচাই করতে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আবেদনকারীদের মৌখিক সাক্ষাৎকার যাচাই-বাছাই করে সরকারের শিশুকল্যাণ বোর্ড। তার ভবিষ্যৎ যেখানে ভালো হবে বলে বোর্ড মনে করেছে, সেই নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে দেওয়া হয়।
শিশুটিকে হস্তান্তর করার সময় উপস্থিল ছিলেন শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ইউএনও সম্রাট খীসা, সদস্যসচিব উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বদিউজ্জামান উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে নবজাতকটি কান্না করছিল। পরে মোহাম্মদ মোস্তফা নামে এক জেলে কন্যাশিশুটি উদ্ধার করে উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতলে ভর্তি করেন। ১০ দিন চিকিৎসার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নতুন বাবা–মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।