কুমিল্লার নাহিদা আক্তারের কাছে একটি ফোন কল আসে গত বছরের শেষ দিকে। বলা হয়, ‘আমি বিকাশ থেকে ওয়াহিদ বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এরপর স্থগিত অ্যাকাউন্টটি চালুর জন্য নাহিদাকে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়। এভাবে মুহূর্তের মধ্যেই নাহিদার প্রায় ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।’
এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ওয়ালেট সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের কর্মী সেজে প্রতারণা করে আসছিল প্রতারক চক্রের সেই সদস্য। ফোনে পুরুষকণ্ঠে প্রতারণা করে এলেও তিনি একজন নারী। শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পুলিশ।
বুধবার রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার তেলিপুকুর এলাকা থেকে সারমিন সুলতানাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাহিদা আক্তারকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকাশ অফিস থেকে ফোনকলের নাম করে অভিনব কায়দায় এক প্রতারক ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরদিন (৬ জানুয়ারি) এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ওই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার অ্যাকাউন্টে প্রতারণা থেকে পাওয়া অর্থ রাখা হয়েছিল এবং তার সঙ্গে প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যরা নিয়মিত যোগাযোগ করত।
পুলিশ সুপার (সিআইডি) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানান, চক্রটি পুরো দেশে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একত্রিত হয়ে এ কাজ করছে। তাদের ধরতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়। আমরা এখন একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিরাও আমাদের নজরে আছে। শিগগিরই এ চক্রের সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।